ব্রণ একটি বিশ্রী সমস্যা কম বেশি অনেকেই এর
শিকার হন।
সাধারণত টিন এজার অর্থাৎ ১৩ -১৯
বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে ব্রণ একটি
সাধারন অসুখ। তবে যে কোন বয়সেই ব্রণ হতে
পারে। ব্রনে আক্রান্ত যুবক যুবতীদের মানসিক
অশান্তির শেষ থাকেনা। ব্রণ দেখতে বিভিন্ন রকম
হতে পারে । যেমন ছোট ছোট গোল ফুসকুড়ি ,লালচে
ছোট ছোট গোটা, আবার পুঁজ পুর্ন বড় বড় চাকাও
হতে পারে। ব্রণ টি পরে ভাতের দানার মত বেরিয়ে
আসে। অনেকের মুখে ব্রণ খুব যন্ত্রণাদায়ক হয়।
ব্রণের ফলে ত্বকে ছিদ্র দেখা দিতে পারে। কারো
কারো মুখে ব্রণের তীব্রতা বেশি থাকলে তা এবড়ো
থেবড়ো দেখায়। ব্রণ বেশি টেপা টেপি করলে
সেখানে কালো দাগ সৃষ্টি হয়।
ব্রণ যেখানে হয়- ব্রণ সাধারন মুখেই বেশি হয়।
বিশেষ করে গাল, নাক, কপাল ও থুতনিতে। তবে ঘাড়,
কাঁধ, বুক, পিঠ, স্তন, নাভি ও উরুতেও ব্রণ হয়ে
থাকে।
ব্রণ হওয়ার কারন - আমাদে ত্বকে অনেক গুলো
"সিবাসিয়াস গ্রন্থি" থাকে যা থেকে সব সময় সিবাম
নামক এক ধরনের তৈলাক্ত রস নিঃসৃত হয় ।
লোমকুপ দিয়ে এই সিবাম বের হয়ে ত্বকে ছড়িয়ে
পড়ে বিধায় ত্বকে নরম, মসৃন ও তৈলাক্ত ভাব
আসে। যদি কোন কারনে সিবাম এর নিঃসরণ বৃদ্ধি
পায় এবং লোমের গোড়ায় বিদ্ধমান কেরাটিন( এক
ধরনের প্রোটিন জাতীয় পদার্থ) ধুলাবালির সঙ্গে
মিশে সেখানকার ছিদ্র পথ বা নির্গমন পথ বন্ধ করে
দেয় ফলে সিবাম বের হতে না পেরে জমা হয়ে ব্রণ
হিসাবে প্রকাশ পায়। ব্রণ 'প্রোপাইনি ব্যক্টেরিয়াম
একনিস' নামক এক ধরনের জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত
হয়ে পরে তা আরো তীব্রতা লাভ করে। উল্লেখ্য
সিবাসিয়াস গ্রন্থি শরীরের মধ্যে মুখের ত্বকে বেশি
থাকে। তাই ব্রণ ও মুখে বেশি হয়।
এন্ড্রোজেন নামক এক প্রকার হরমোনের প্রভাবে
সিবামের উৎপাদন ও নিঃসরণ বেড়ে যেতে পারে।
ফলে এখান থেকেও ব্রণ সৃষ্টি হয়।
এছাড়া বিভিন্ন শারীরিক,মানসিক ও পারিপার্শ্বিক
পরিবর্তনের সঙ্গে ব্রণের তীব্রতা উঠা নামা করতে
পারে। মানসিক অশান্তি, অতিরিক্ত চিন্তা এবং
মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রতিবার মাসিকের আগে ব্রণের
তীব্রতা বেড়ে যায়। যারা অতিরিক্ত প্রসাধনী
ব্যবহার করেন তাদের ও ব্রণ হতে পারে। এছাড়া
জন্ম নিয়ন্ত্রন বড়ি খেলেও ব্রণ হয়।
ব্রণের চিকিৎসা - সব ধরনের প্রসাধন বর্জন করতে
হবে, নখ দিয়ে ব্রণ খুটা খুটি করা যাবেনা। ভালো
কোন সাবান বা ফেইস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে হবে ।
মুখে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে লাগালে ভালো ফল
পাওয়া যায়। মুখ ধোয়ার পর মধু মাখালে ব্রণ সেরে
যায় কারন মধু এন্টি ব্যক্টেরিয়াল হিসাবে কাজ
করে। সমস্যা বেশি হলে অবশ্যই একজন ভালো ত্বক
বিশেষজ্ঞ কে দেখাতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন