গত পর্ব গুলোতে আমরা সম্পদ,দায়,আয়,ব্যয় নিয়ে
বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আজ আমরা আলোচনা
করব একটি হিসাবের বিভিন্ন নাম নিয়ে।
১) দেনাদার- বাকীতে পন্য বিক্রয় করলে দেনাদার
সৃষ্টি হয়। এটি একটি সম্পদ।এই দেনাদারের অন্যান্য
নাম হল- প্রাপ্য হিসাব,বুকডেটস,পুস্তক ঋন,বিক্রয়
খতিয়ানের জের,
২)পাওনাদার-বাকীতে পন্য ক্রয় করার ফলে
পাওনাদার সৃষ্টি হয়। এটি একটি দায়। এই
পাওনাদারের অন্যান্য নাম হল- প্রদেয় হিসাব, ক্রয়
খতিয়ানের জের।
৩)বকেয়া(আয়) - কোন আয় আদায়ে বাকী থাকলে
সেটা বকেয়া আয় হয়। এটি একটি সম্পদ ।এর
অন্যান্য নাম হল - পাওনা,অনাদায়ী, প্রাপ্য।
৪)বকেয়া (ব্যয়) - কোন ব্যয় প্রদান/পরিশোধ করতে
বাকী থাকলে সেটা বকেয়া ব্যয় হয় এটি একটি দায়।
এর অন্যান্য নাম হল-দেনা, প্রদেয়,অপরিশোধিত,
অপ্রদত্ত।
৫)ঋন- কারবারের টাকার প্রয়োজন হওয়ায় অনেক
সময় কারবার ব্যাংক বা অন্য কোন ব্যক্তি/
প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে ঋন নিয়ে থাকে এই ঋন
কারবারের কাছে দির্ঘ মেয়াদী দায়। এর অন্যান্য নাম
হল- বন্ধকী ঋন, কর্জ গ্রহন, ব্যাংক ঋন, লগ্নী
( ক্রেডিট পাশের), %ঋন, %ব্যাংক ঋন।
৬) বিনিয়োগ- মুনাফার আশায় কারবার অন্য কোন
কারবার/প্রতিষ্ঠানের নিকট টাকা খাটালে তা
বিনিয়োগ হয় এটি একধরনের সম্পদ। এর অন্যান্য
নাম হল-% বিনিয়োগ,প্রদত্ত ঋন, প্রদত্ত কর্জ,
লগ্নি( ডেবিট পাশের)% লগ্নি, সরকারী বন্ড ক্রয়,
সঞ্চয় পত্র ক্রয়, ডিবেঞ্চার স্টক, ঋনপত্র ক্রয়
৭)বিজ্ঞাপন - ব্যবসায়ের পন্য বা সেবা দ্রুত
বিক্রয়ের লক্ষে কিংবা ক্রেতাদের পন্যের জ্ঞান
সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা দূর করতে বিজ্ঞাপন দেয়া
হয়। এটি এক ধরনের ব্যয়। এর অন্যান্য নাম হল-
নমুনা পন্য বিতরণ ,বিনামুল্যে পন্য
বিতরণ,ক্রেতাদের মাঝে পন্য বিতরণ,প্রচার ব্যয়,
৮) মূলধন- মালিক কর্তৃক ব্যাবসায়ে আনিত অর্থ
হল মূলধন। এটি মালিকানা স্বত্ব বৃদ্ধি করে । এটিকে
অন্তঃ দায় ও বলা হয় ।এর অন্যান্য নাম হল-
অতিরিক্ত মূলধন আনয়ন, মালিকের ব্যাক্তি গত
সম্পত্তি বিক্রয় করে টাকা কারবারে আনয়ন,
মালিকের ব্যাক্তি গত ব্যাবহৃত সম্পদ ব্যাবসায়ে
আনয়ন।
৯)উত্তোলন -এটি মূলধনের ঠিক বিপরীত অর্থাৎ
মালিক যদি ব্যবসায় হতে টাকা নিয়ে নিজ প্রয়োজনে
ব্যয় করে তাহলে তাকে উত্তোলন বলে। এটি
মালিকানা স্বত্ব হ্রাস করে।এর অন্যান্য নাম হল-
পন্য উত্তোলন, নগদ উত্তোলন, জীবন বিমার
প্রিমিয়াম প্রদান, আয় কর প্রদান( এক মালিকানা
কারবারের ক্ষেত্রে), ব্যাবসায় হতে টাকা নিয়ে
ব্যাক্তিগত কাজে ব্যবহার যেমন- ছেলের স্কুলের
বেতন, স্ত্রীর অলংকার ক্রয় ইত্যাদি।
১০) কুঋন -দেনাদারের দের মধ্যে যদি কিছু অংশ
আদায় না হয় তবে অই অংশ কে কুঋন বলা হয়। এটি
এক ধরনের ব্যয়। এর অন্যান্য নাম হল- মন্দঋন,
অনাদায়ী পাওনা।
১১) মনিহারি- ব্যবসায়ের অফিস পরিচালনা করতে
হলে বিভিন্ন মনিহারি (যেমন- পিন, স্ট্যাপলার,সুতা,
কলম, খাতা,কালি,কার্বন, কাগজ, আঠা, ইত্যাদি)
প্রয়োজন হয়। মনিহারি এক ধরনের ব্যয় এর
অন্যান্য নাম হল- ছাপা ও মনিহারি, সাপ্লাইজ,
ষ্টেশনারী,সম্ভার,
১২) প্রদত্ত বাট্রা - দেনাদার দের কাছ থেকে টাকা
দ্রুত আদায়ের লক্ষে কারবার কিছু টাকা ছাড় দেয়
এই ছাড় কে নগদ বাট্রা বলে এটি এক ধরনের ব্যয়।
এর অন্যান্য নাম হল - বরাদ্ধ কৃত বাট্রা, বাট্রা
( ডেবিট পাশের) মঞ্জুরিকৃত বাট্রা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন